Skip to main content

_____শাহীনুর ইসলাম এর ৩টি কবিতা।

গভীর নিশীথে

_____শাহীনুর ইসলাম 


গভীর নিশীথে চাঁদ ডুবেছে নীল গগণের ঝরোকায়

ঘন ঘোর আঁধার তমসা এসেছে ঘিরে 

শত ব্যথা বেদনায়। 


নিঃশব্দে কাঁদছে বুকের আশা ভাষা শুনিবারে নাহি কেউ 

ওগো লীলাময়ী তোমা বিহনে আঁখির নীরে 

উথলায় পড়ে ঢেউ। 


তোমার প্রেমের হাজার কবিতা শবদাহহীন কাঁদে আজো 

তুমি কার বাসরে দোসর বাঁধিবার আশে

প্রণয় বঁধু সাজ।


হেরিনু দূর আকাশের প্রভাতী তারা গভীর দুঃখে জাগে

ম-ম রিক্ত বক্ষের দুঃখ ছানি তারায় তারায় 

ছড়ায় অনুরাগে। 


দূর বনে শুনি ডাহুকীর ডাক ডাকিছে করুণ ব্যথার সুরে 

মোর সম ব্যথাভার বহিছে কি তাহার 

শূন্য হৃদয় পুরে।


প্রেমের কলাপী ভাবোচ্ছ্বাস ভ্রমি পিউ কাহা পিউ পাপিয়া 

ক্লান্ত হয়ে ঘুমায়ে গেছে গানের পাখি 

বুকেতে ব্যথা চাপিয়া। 


যত কাঁদি তত বাড়ে জ্বালা বিরহী অনলে পুড়িয়া মরি

প্রেম পিয়াসী বঁধুর মধুর পিয়াসে তনু মন

উঠিছে শিহরি।


শত বেদনার কাঁটা কুঞ্জে বসিয়া একাকী গাঁথিয়া মালা 

নীরবে তারে হেরিনু যত বুকে 

বাড়ে তত জ্বালা। 


ফোটে যত ফুল রাতের আঁধারে,  আঁধারেই ঝরে যায় 

তব পাষাণ বেদীর হিয়াতলে লুটবে বলে 

করে হায় হায়।


নিরব নিশীর দুঃখের শিশীর ভেজা চম্পা চামেলি কামিনী 

মোর সনে জাগে বাতায়ন পাশে

হেরিতে মধু যামিনী। 


কত দিবসের কত হাসি গান সঞ্চারীনু বুকের গভীরে 

বসিয়া বিজনে বিরাগ মনে ভাষা 

দেব তোমার ছবিরে।


ব্যথা-ক্রন্দনে প্রাণের বন্ধন ছিঁড়ে দু'জন রহিনু দূ কূলে

তোমার প্রেমের তরী ভিরবে কি আর

আমার ঘাটে ভুলে। 


গভীর নিশীথে বাজে কার বাঁশি করুণ ব্যথার সুরে 

ঘর হতে যে বাহির করে নিয়ে যায় 

দূর হতে বহুদূরে। 


চিত উতরোল হলো আজিকে উথলি উঠিছে নয়ন বারিধারা 

বঁধুয়ারে খুজিছি বাহুডোরে 

পাইনা কোথাও সাড়া।


মোর মরমের বাণী কাঁদে আজো স্মরিয়া প্রিয়ার মুখ 

আমারে ছাড়িয়া কোথা পায় বল

অসীম স্বর্গসুখ। 


নয়ন পাতে নিদ্রা নাহি মোর শিয়রে জাগে মৃত্যুদূত

বেলা শেষের বাজলো বীণা যখন 

আমার প্রভাতী প্রস্তুত। 


বাজলো কিরে ভোরের সানাই নিদ মহলার আধার চূড়ে

আজ হারিয়ে যেতে নেইকো মানা

সানাইয়েরই করুণ সুরে।


নীরবে নিথর রহিনু পড়ে মৃত্যুরে সঁপি কায় মন প্রাণ 

ম-ম প্রীতি উল্লাসের গীতি আজিকে 

হলো চির অবসান।

<><><><><><><>

১/বিরহী ফাল্গুনে।

২/বাংলাটা খুব বলে না।

Comments

Popular posts from this blog

এক জোড়া চোখ _____জয়া গোস্বামী

  এক জোড়া চোখ _____জয়া গোস্বামী  কথাতো অনেক কিছুই ছিল বলো? সেই প্রথম দেখার দিন থেকেই তোমার সাথে। ভুলিনি কিছুই মনে রাখার আজও চেষ্টা করি। তোমার কথার অঙ্কের কাছে আমি'তো  আজীবন হেরে গিয়েছি,,,, নতুন করে কেন আবার শুরু করবো এইতো আছি একাকিত্বের রাজ্যে আমি একাই সম্রাজ্ঞী,,,, কথা ছিল ছায়া হবে সারাজীবন পাশাপাশি থাকবে,একইসাথে পথ চলবে হঠাৎই অন্ধকার দেখে হাত ছাড়লে কেন? আজ ঠকে  গিয়ে মানুষ চিনতে শিখলাম মিষ্টি কথায় ভুলেছি অনেক, বুঝিনি করিনি নিজের খেয়াল,কি বলেছিল সেদিন তোমার ঐ এক জোড়া চোখ ? কোন দিন নাকি আমাকে হারাবার নয়,  অধিকার চেয়ে নিয়েছিলে ভালোবাসার, তোমার দিকে তাকিয়ে দুর্বল হয়েছি প্রতিনিয়ত,,,,,, গোপনে দু'জনের মধ্যবর্তী কথা আজ তার কোন সাক্ষী নেই ,নেই কোন পাকাপোক্ত দলিল,, কে'নিলো দুর্বলতার সুযোগ? আমি না তুমি?  সুযোগ বুঝে ঠিক ফিরিয়ে নিলে চোখ, তাকালে না ফিরে আর একটিবার। আমি আজও তোমার পথ চেয়ে ক্লান্ত ,আজ চোখ চাইছে একটু বিশ্রাম,,,,,,,,,, মনে আছে শেষ তোমার সাথে বসন্ত বাহার সবই.... এসেছিলে বসেছিলে কাছাকাছি চোখে চোখ রেখে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলে। তোমায় আমি ভালোবাসিনি কোন দিনও? মন

মাংসাশী পুরুষ। _____অরন্য হাসান দেলোয়ার।

মাংসাশী পুরুষ। _____অরন্য হাসান দেলোয়ার।  বুকের গহীনে জমা কথাগুলো আজ সাঁজিয়ে রেখেছিলাম নাস্তার টেবিলে তুমি অবহেলায় তা ছুঁড়ে ফেলেছিলে ডাস্টবিনে।  আমার ভালোলাগা বিষয়গুলো নীল খামে করে  তোমার অফিসে পাঠিয়েছিলাম, যদি কাজের ফাঁকে একবার দেখে নিতে সেই খাম সেই টেবিলেই পড়েছিলো অনেকগুলো দিন ধরেও দেখা হয়নি ভুলে... আমার তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নগুলো রাতের বিছানায় রেখেছিলাম তোমাকে দেখাবো বলে সেই রাতে তুমি বাড়ি ফেরোনি... পরে জেনেছিলাম তোমার সুন্দরী সেক্রেটারির  নির্জন বাসায় তারই বাহুডোরে ছিলে তুমি। আমার যন্ত্রণা গুলো নিয়ে আজ আমি ফিরে যাচ্ছি কোথায় ফিরবো?নারীর তো কোন ঘর নেই বাড়ি নেই আমি চলে যাচ্ছি অজানা কোন এক ঠিকানায় যেখানে কেউ আমাকে ঠকাবে না আমার কথাগুলো ছুঁড়ে ফেলবে না  আমার স্বপ্নগুলো চুরমার করবে না আমি আর কোন পুরুষেই আসক্ত হবো না। আমি নারী এক পুরুষেই যখন কিছু হয়নি তখন হাজার পুরুষেও হবে না... কারন,সব পুরুষই নতুন মাংসের স্বাদ পেলে  পুরোনো বাসি মাংস ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ©Aranna Hasan Delwar. Generated by Embed Youtube Video online

আমি নারী , _____ববি ফারজানা

  আমি নারী ,  _____ববি ফারজানা  যেখানে শুনিবে হুহু কোন বুনো কেতকির ডাক । কান পেতে বুঝে নিও; তা ব্যথাতুরা কোন রমনীর দীর্ঘশ্বাস। গ্রীষ্মের প্রভাতে ঘাসফুলে যদি পড়ে শিশিরের ছিটা । অনুভবে ছুয়ে দেখ, কোন গৃহ নন্দিনির গোপন অশ্রু ফোটা । যদি দেখ শরতের জোছনায় কাল মেঘে ঢেকে গেছে চাঁদ।  জেনে নিও, সে তো শতো  সুরবালার গোপন কষ্টের হহাকার । হঠাৎই যদি পৃথিবীর বুকে নেমে আসে কাল বৈশাখী ঝড়  বুঝে নিও , জেগেছে নারী; ধরেছে তলোয়ার ।  যতই প্ররোচনা আর নিয়ম নীতিতে বেধে রাখ তারে ।  পারবে না ভাঙতে, হে সমাজ - নারীর ক্ষমতারে ।  নারীর গর্ভে জন্ম - হে পুরুষ,  মাতৃদুগ্ধ পানে তুমি লালিত ।  কিসের ক্ষমতা তোমার ? শ্রদ্ধা আর সম্মানে নতজানু যে পুরুষ,  নারীর যোগ্য সেই তো উচ্চশির সুমহান মানুষ। Generated by Embed Youtube Video online