Skip to main content

ইমাম মাহাদির খোঁজে আমেরিকা।


ইমাম মাহাদির খোঁজে আমেরিকা!!

____অরন্য হাসান দেলোয়ার। 

প্রথমে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ,যেটা আমেরিকা খুব সুক্ষ্মভাবে শুরু করে দিয়েছে। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য বানানোর পরিকল্পনা করে রাশিয়াকে উস্কে দিয়েছে। রাশিয়ার সীমান্ত ঘেষে ন্যাটো তার বাহিনী মোতায়েন করে রাশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে সেটা রাশিয়া কখনোই চাইবে না।

তাই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আমেরিকার একটা ষড়যন্ত্রের অংশ।


এরপর গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন,এরপর ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলা সবই একই সুত্রে গাঁথা।


বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করে তাদের মনোযোগ ভিন্নখাতে সরিয়ে রেখে নিজেদের কাজ নিরবে করে যাওয়াই আমেরিকার মূল লক্ষ্য। 


এখন আমেরিকা বা তার মিত্রদের মুল কাজ কি?


সেটা জানার আগে আমাদের কিছুটা পিছনে ফিরে যেতে হবে।

এবং সেই সাথে বর্তমান মুসলিম সম্প্রদায় কি করছে তাও জানতে হবে।


আরও পড়ুন: দাজ্জালের পরিচয় প্রকাশ হয়েছে। 


সুলতান সালাউদ্দিন আয়ুবি'র ফিলিস্তিন বিজয়ের কিছু সময়ের মধ্যে ৩০০০ আলেম হত্যার একটি ঘটনা ঘটেছিলো। সেটা কেন?


সালাউদ্দিন আয়ুবি তো ফিলিস্তিন বিজয় করেছিলেন,কিন্তু তিনি লক্ষ করেছিলেন যে,সাধারণ মানুষ ইসলামের মুল ভিত্তি থেকে সরে গিয়ে বিভিন্ন ফেৎনায় জড়িয়ে যাচ্ছে,যা ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য ভয়ংকর এক ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। 


সুলতান সালাউদ্দিন আয়ুবি তখন সিদ্ধান্ত নিলেন,মানুষকে এইসব ফিৎনা থেকে মুক্ত করতে হলে,তাকে এর মুলে প্রবেশ করতে হবে।


তখন তিনি তার বিশ্বস্ত লোকদের মাধ্যমে গোপন একটি তদন্ত শুরু করলেন,এবং সেই তদন্তে উঠে এলো এক ভয়ংকর দিক।

রাষ্ট্রের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় অধিকাংশ আলেম ইহুদি প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ইসলামের ভিতরে বিভিন্ন ফিৎনা ঢুকিয়ে মুসলমানদের কাছে প্রচার করছে। 


যেহেতু সেইসব আলেমদের অধিকাংশ খুবই জনপ্রিয় ও মানুষের ভিতরে বিশ্বাসী ছিলেন,তাই সাধারণ মানুষ খুবই সহজে সেগুলো বিশ্বাস করতেন কোন রকম সন্দেহ ছাড়াই।


সুলতান সালাউদ্দিন আয়ুবি তখন এইসব আলেমদের ধরে এনে তাদের হত্যার নির্দেশ দিলেন। 


এরপরও কি ইহুদিরা থেমে ছিলো? না,ইহুদিরা তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছিলো গোপনে। এখনো সেই ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে।


সবাই তো আর সালাউদ্দিন আয়ুবি নয় যে,ইহুদিদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পারবে। আর আজকের যুগে যদি এই কাজ কেউ করে মানুষ সেই লোককেই বলবে ইসলাম বিরোধী। 


যখন গাজায় গনহত্যা চলছে,তখন বাংলাদেশ সহ অধিকাংশ মুসলিম দেশের মাদ্রাসাগুলো নিরব ভূমিকায় রয়েছে। আলেমদের অধিকাংশই নিশ্চুপ নিরব।


যখন ইরান ইসরায়েলে হামলা চালালো তখন ইরান থেকে শুরু করে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মুসলমানরা রাস্তায় নেমে তাকে স্বাগত জানিয়েছে।

অথচ,কোন আলেম কিংবা বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো ছিলো নিরব নিশ্চুপ।


অনেকেই জানেন না যে,বাংলাদেশের অধিকাংশ মাদ্রাসার ফান্ডিং আসে সৌদি আরব ও ইসরায়েল থেকে। ইসরায়েলের নাম শুনে অনেকেই হয়তো সন্দেহ করবেন বা অবিশ্বাস্য মনে করবেন কিন্তু এটাই সত্য। 


বাংলাদেশের মানুষ যখন চরমভাবে ইসলামের মূল আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে শুধু নামাজ রোজায় অভ্যাস্ত তখন আমাদের দেশের আলেমরা ফিৎনা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

তারাবি কয় রাকাত। নবীর সুন্নত কি? নবী কেন এতোগুলো বিয়ে করেছেন?

তার বিবিরা কে কেমন ছিলো। 

এইরকম হাজারো ফিৎনা সমাজের মানুষের ভিতরে ছড়িয়ে দিচ্ছেন খুব সুক্ষ্মভাবে। 


কখনো কখনো শোনা যায়,নবীজির সিক্স প্যাক ছিলো,,,আয়শা রা: ইন্টেক ছিলেন না এমন অনেক ফিৎনা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সমাজে।

কেউ গান গাইছেন,কেউ নাস্তিক আস্তিক নিয়ে লড়াই করছেন,কেউ তরিকার সত্য মিথ্যা নিয়ে ঝগড়া করছেন।


এইরকম হাজারো ফিৎনায় জড়িয়ে ফেলছেন সাধারণ মানুষকে।

এরপর আছে রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা। কেউ ওয়াজের মঞ্চে কোন রাজনৈতিক নেতাকে ভগবান বানাচ্ছেন তো অন্য কাউকে চোর বানাচ্ছেন যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখছে।


এইসব কিছুই ইহুদিদের ষড়যন্ত্রের অংশ।


একটু খেয়াল করে দেখবেন,নিরপেক্ষ অবস্থায় চিন্তা করবেন,একজন মুসলিম হিসাবে ভাববেন,,দেখবেন আমাদের দেশের অধিকাংশ আলেম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অথবা কঠিন কোন বক্তব্য দেন না। এরা কোন রকম একটা বিবৃতি দেন যাতে সাধারণ মুসলমানরা বুঝতে না পারে হুজুর কি ইসরায়েলের পক্ষ নিলেন না বিপক্ষে গেলেন?


এই রকম শুধু যে বাংলাদেশের ভিতরে হচ্ছে তা নয়,বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশে একই অবস্থা।


কেন এমন হচ্ছে?


আমেরিকা ও তার মিত্ররা মুসলিম সম্প্রদায়কে নানা রকম ফিৎনায় জড়িয়ে রেখে ইমাম মাহাদি সম্পর্কে ভুলিয়ে রাখছে।

আমাদের আলেমরা ইমাম মাহাদি সম্পর্কে নিজেরাও কোন গবেষণা করে না,আবার সাধারণ মানুষকেও কিছু জানায় না।

কারণ এইসব আলেমরা সবাই ইহুদি প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাজ করছে।


ইমাম মাহাদি সম্পর্কে আমেরিকা ও তার মিত্ররা অনেক বেশি সজাগ। এই কারনেই হাদিস বর্ণিত ইমাম মাহাদি যেসব পথ অনুসরণ করে মক্কায় পৌছাবেন তার সবখানেই ন্যাটো তার সেনাবাহিনী মোতায়েন করে রেখেছেন। এবং সেইসব রাষ্ট্র গুলোকে ধ্বংস করে জাহান্নাম বানিয়ে রেখেছেন। যাতে করে এইসব দেশের সাধারণ মানুষ নিজের দেশ ছেড়ে ইউরোপ আমেরিকায় পালায়। এবং নিজেদের ঈমান ধ্বংস করে ফেলে।


যেমন পাকিস্তান,আফগানিস্তান ফিলিস্তিন,লিবিয়া,সিরিয়া,ইরাক,সব গুলো পথেই ন্যাটো তার বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছেন। এবং এইসব রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছেন।


আমেরিকা ও তার মিত্ররা যখনই বুঝতে পেরেছেন,ইমাম মাহাদির আগমন খবই সন্নিকটে তখন তারা বিশ্বে আর একটি যুদ্ধের শুরু করতে চাইছেন। এবং এই যুদ্ধে তারা মুসলমানদের একেবারে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। যাতে করে ইমাম মাহাদি আসার পর মুসলমানদের সংখ্যা খুবই কম থাকে।


পরের অংশ পড়তে ক্লিক করুন:

ইমাম মাহাদিকে কেন খুজছে আমেরিকা? 


Comments

Popular posts from this blog

শোষিতের হাসি _____রফিকুল হাসান স্বপন।

 শোষিতের হাসি _____রফিকুল হাসান স্বপন। দানবের নখের আঁচড়ে ক্ষত-বিক্ষত দেহে রক্তক্ষরণ প্রতিনিয়ত;   হৃদয়ে লালিত অগ্নি শিখা আলো বাতাসহীন অন্ধকূপে শোষকের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে এখনো নিভু নিভু জ্বলন্ত , মূহুর্তে মৃদু মৃদু বাতাসে দাউ দাউ করে জ্বলে নক্ষত্রের ন্যায় হতে পারে জীবন্ত । অতঃপর---- ক্ষিপ্ত অগ্নি শিখা ধুমকেতুর ন্যায় ধাবিত হয়ে প্রবেশ করতে পারে শোষকের বিলাস বহুল প্রাসাদে; জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে শোষকের পতন ঘটাতে পারে অবাধে। সেদিন--- ধ্বংস স্তুপে পতপত করে উড়বে শোষিতের বিজয় পতাকা;  যেখানে অন্তর চোখে দেখা যাবে পিতা মুজিবের মুখ রয়েছে আঁকা। রাজপথে নামবে জনতার ঢল শোষিত মানুষের মুখে কাঙ্খিত বিজয়ের হাসি--- নেচে গেয়ে গাইবে তারা আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।।

এক জোড়া চোখ _____জয়া গোস্বামী

  এক জোড়া চোখ _____জয়া গোস্বামী  কথাতো অনেক কিছুই ছিল বলো? সেই প্রথম দেখার দিন থেকেই তোমার সাথে। ভুলিনি কিছুই মনে রাখার আজও চেষ্টা করি। তোমার কথার অঙ্কের কাছে আমি'তো  আজীবন হেরে গিয়েছি,,,, নতুন করে কেন আবার শুরু করবো এইতো আছি একাকিত্বের রাজ্যে আমি একাই সম্রাজ্ঞী,,,, কথা ছিল ছায়া হবে সারাজীবন পাশাপাশি থাকবে,একইসাথে পথ চলবে হঠাৎই অন্ধকার দেখে হাত ছাড়লে কেন? আজ ঠকে  গিয়ে মানুষ চিনতে শিখলাম মিষ্টি কথায় ভুলেছি অনেক, বুঝিনি করিনি নিজের খেয়াল,কি বলেছিল সেদিন তোমার ঐ এক জোড়া চোখ ? কোন দিন নাকি আমাকে হারাবার নয়,  অধিকার চেয়ে নিয়েছিলে ভালোবাসার, তোমার দিকে তাকিয়ে দুর্বল হয়েছি প্রতিনিয়ত,,,,,, গোপনে দু'জনের মধ্যবর্তী কথা আজ তার কোন সাক্ষী নেই ,নেই কোন পাকাপোক্ত দলিল,, কে'নিলো দুর্বলতার সুযোগ? আমি না তুমি?  সুযোগ বুঝে ঠিক ফিরিয়ে নিলে চোখ, তাকালে না ফিরে আর একটিবার। আমি আজও তোমার পথ চেয়ে ক্লান্ত ,আজ চোখ চাইছে একটু বিশ্রাম,,,,,,,,,, মনে আছে শেষ তোমার সাথে বসন্ত বাহার সবই.... এসেছিলে বসেছিলে কাছাকাছি চোখে চোখ রেখে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলে। তোমায় আমি ভালোবাসিনি কোন দিনও? মন

মাংসাশী পুরুষ। _____অরন্য হাসান দেলোয়ার।

মাংসাশী পুরুষ। _____অরন্য হাসান দেলোয়ার।  বুকের গহীনে জমা কথাগুলো আজ সাঁজিয়ে রেখেছিলাম নাস্তার টেবিলে তুমি অবহেলায় তা ছুঁড়ে ফেলেছিলে ডাস্টবিনে।  আমার ভালোলাগা বিষয়গুলো নীল খামে করে  তোমার অফিসে পাঠিয়েছিলাম, যদি কাজের ফাঁকে একবার দেখে নিতে সেই খাম সেই টেবিলেই পড়েছিলো অনেকগুলো দিন ধরেও দেখা হয়নি ভুলে... আমার তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নগুলো রাতের বিছানায় রেখেছিলাম তোমাকে দেখাবো বলে সেই রাতে তুমি বাড়ি ফেরোনি... পরে জেনেছিলাম তোমার সুন্দরী সেক্রেটারির  নির্জন বাসায় তারই বাহুডোরে ছিলে তুমি। আমার যন্ত্রণা গুলো নিয়ে আজ আমি ফিরে যাচ্ছি কোথায় ফিরবো?নারীর তো কোন ঘর নেই বাড়ি নেই আমি চলে যাচ্ছি অজানা কোন এক ঠিকানায় যেখানে কেউ আমাকে ঠকাবে না আমার কথাগুলো ছুঁড়ে ফেলবে না  আমার স্বপ্নগুলো চুরমার করবে না আমি আর কোন পুরুষেই আসক্ত হবো না। আমি নারী এক পুরুষেই যখন কিছু হয়নি তখন হাজার পুরুষেও হবে না... কারন,সব পুরুষই নতুন মাংসের স্বাদ পেলে  পুরোনো বাসি মাংস ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ©Aranna Hasan Delwar. Generated by Embed Youtube Video online