Skip to main content

কবিতা আবৃত্তি। মাহমুদা সুলতানা

 

হাউজ ওয়াইফ 

____মাহমুদা সুলতানা 


সারাদিন কোন কাজ কাম নাই ঐ খাই আর ঘুমাই।

স্বামীর পয়সায় মাসে একবার বিউটি পার্লারে গিয়ে ঘসা মাজা করে আসি। চুলটাও কেটে নেই। 

আমার কোন কাজ নেই আমি একজন হাউজ ওয়াইফ।

আমার সকাল হয় ছটার আগে

বাচ্চাদের স্কুল যে।

সবাই যখন ঘুমিয়ে আমি তখন বাচ্চাদের টিফিন রেডি করতে ব্যস্ত।

শব্দ করিনা যদি কারো ঘুম ভেঙে যায়। 

তাড়াতাড়ি দুটোকে তুলে একটু দুধ খাইয়ে ব্যাগ গুছিয়ে 

এই কাছেই স্কুল একটু দিয়ে আসি।

রিক্সা ভাড়া টা বাচাতে মর্নিং ওয়াকের নামে হেঁটে আসি।

আমার ই উপকার শুয়ে বসে তো শরীর টা ভারি হয়ে গেল। 

ঘরে এসে সাহেবের নাস্তা, ডিম এক বাটি সবজি ঐ চারটে রুটি 

এ আর এমন কি।

দুপুরের খাবার ও  কিন্তু দিয়ে দেই 

নয়তো বাইরে খেয়ে অসুস্থ হয়ে যাবে যে।

মুজা রোমাল অফিসের কাপড় বিছানার উপর সব রেডি।

এতো স্ত্রীর দায়িত্ব,এটুকু না করলে মায়া থাকবে কি করে?

ওহ! কি কর টাইটা তো বেধে দিলা না।

সাহেবকে বিদায় দিয়ে বাচ্চাদের আনার সময় হল।

ওদের আনতে যাওয়ার সময় লন্ডিতে কাপড় দিয়ে যাবে। 

আসার পথে একটু বাজার নিয়ে আসবো।

তাড়াতাড়ি বাচ্চাদের খাইয়ে গোসল করিয়ে ফেজবুকে হামলে পড়ি।

সারা দিন কেন কাজ নেই তো

আমি হাউজ ওয়াইফ। 

একটু লেখা লিখি ও কোন কাজে আসবে।

আমি কোন কবি সাহিত্যিক নাকি? 

হায় গো আল্লাহ রান্নায় দেরি হয়ে গেল।

ছুটা ঝি এসে সব করে দিয়ে যায় 

তারপর ও সময় হয়না সারাদিন করটা কি? 

বিকালে ওদের টিউশনে দিয়ে একটু জিমে যাই নয় তো সাহেবের চোখে যদি কোন ছাব্বিশ ইঞ্চি কোমরে  আটকে যায়। 

আমি হাউজ ওয়াইফ আমার কোন কাজ নেই ।

 সারাদিন পার্লার টার্লার সাজুগুু তেই কেটে যায়। 

টিউশন থেকে বাচ্চাদের আনতে আনতে সাহেব ও এসে যায় ।

সবাইকে  চা নাস্তা দিয়ে রাতের রান্না টা বসাই।

সবার খাওয়া গোছগাছ করতে করতে এগারো টা। 

ওহ বিছানায় গিয়ে আর কিছু ভাল লাগে না। 

সাহেব খেপে যায় সারাদিন করটা কি? তোমাকে কখনো ডাকলে পাই না।

কি হয় আমি আর কিচ্ছু বুঝতে পারছি না, হারিয়ে যাই ঘুমের রাজ্যে।

আমি হাউজ ওয়াইফ আমার কোন কাজ নেই।

Comments

Popular posts from this blog

এক জোড়া চোখ _____জয়া গোস্বামী

  এক জোড়া চোখ _____জয়া গোস্বামী  কথাতো অনেক কিছুই ছিল বলো? সেই প্রথম দেখার দিন থেকেই তোমার সাথে। ভুলিনি কিছুই মনে রাখার আজও চেষ্টা করি। তোমার কথার অঙ্কের কাছে আমি'তো  আজীবন হেরে গিয়েছি,,,, নতুন করে কেন আবার শুরু করবো এইতো আছি একাকিত্বের রাজ্যে আমি একাই সম্রাজ্ঞী,,,, কথা ছিল ছায়া হবে সারাজীবন পাশাপাশি থাকবে,একইসাথে পথ চলবে হঠাৎই অন্ধকার দেখে হাত ছাড়লে কেন? আজ ঠকে  গিয়ে মানুষ চিনতে শিখলাম মিষ্টি কথায় ভুলেছি অনেক, বুঝিনি করিনি নিজের খেয়াল,কি বলেছিল সেদিন তোমার ঐ এক জোড়া চোখ ? কোন দিন নাকি আমাকে হারাবার নয়,  অধিকার চেয়ে নিয়েছিলে ভালোবাসার, তোমার দিকে তাকিয়ে দুর্বল হয়েছি প্রতিনিয়ত,,,,,, গোপনে দু'জনের মধ্যবর্তী কথা আজ তার কোন সাক্ষী নেই ,নেই কোন পাকাপোক্ত দলিল,, কে'নিলো দুর্বলতার সুযোগ? আমি না তুমি?  সুযোগ বুঝে ঠিক ফিরিয়ে নিলে চোখ, তাকালে না ফিরে আর একটিবার। আমি আজও তোমার পথ চেয়ে ক্লান্ত ,আজ চোখ চাইছে একটু বিশ্রাম,,,,,,,,,, মনে আছে শেষ তোমার সাথে বসন্ত বাহার সবই.... এসেছিলে বসেছিলে কাছাকাছি চোখে চোখ রেখে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলে। তোমায় আমি ভালোবাসিনি কোন দিনও? মন

মাংসাশী পুরুষ। _____অরন্য হাসান দেলোয়ার।

মাংসাশী পুরুষ। _____অরন্য হাসান দেলোয়ার।  বুকের গহীনে জমা কথাগুলো আজ সাঁজিয়ে রেখেছিলাম নাস্তার টেবিলে তুমি অবহেলায় তা ছুঁড়ে ফেলেছিলে ডাস্টবিনে।  আমার ভালোলাগা বিষয়গুলো নীল খামে করে  তোমার অফিসে পাঠিয়েছিলাম, যদি কাজের ফাঁকে একবার দেখে নিতে সেই খাম সেই টেবিলেই পড়েছিলো অনেকগুলো দিন ধরেও দেখা হয়নি ভুলে... আমার তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নগুলো রাতের বিছানায় রেখেছিলাম তোমাকে দেখাবো বলে সেই রাতে তুমি বাড়ি ফেরোনি... পরে জেনেছিলাম তোমার সুন্দরী সেক্রেটারির  নির্জন বাসায় তারই বাহুডোরে ছিলে তুমি। আমার যন্ত্রণা গুলো নিয়ে আজ আমি ফিরে যাচ্ছি কোথায় ফিরবো?নারীর তো কোন ঘর নেই বাড়ি নেই আমি চলে যাচ্ছি অজানা কোন এক ঠিকানায় যেখানে কেউ আমাকে ঠকাবে না আমার কথাগুলো ছুঁড়ে ফেলবে না  আমার স্বপ্নগুলো চুরমার করবে না আমি আর কোন পুরুষেই আসক্ত হবো না। আমি নারী এক পুরুষেই যখন কিছু হয়নি তখন হাজার পুরুষেও হবে না... কারন,সব পুরুষই নতুন মাংসের স্বাদ পেলে  পুরোনো বাসি মাংস ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ©Aranna Hasan Delwar. Generated by Embed Youtube Video online

আমি নারী , _____ববি ফারজানা

  আমি নারী ,  _____ববি ফারজানা  যেখানে শুনিবে হুহু কোন বুনো কেতকির ডাক । কান পেতে বুঝে নিও; তা ব্যথাতুরা কোন রমনীর দীর্ঘশ্বাস। গ্রীষ্মের প্রভাতে ঘাসফুলে যদি পড়ে শিশিরের ছিটা । অনুভবে ছুয়ে দেখ, কোন গৃহ নন্দিনির গোপন অশ্রু ফোটা । যদি দেখ শরতের জোছনায় কাল মেঘে ঢেকে গেছে চাঁদ।  জেনে নিও, সে তো শতো  সুরবালার গোপন কষ্টের হহাকার । হঠাৎই যদি পৃথিবীর বুকে নেমে আসে কাল বৈশাখী ঝড়  বুঝে নিও , জেগেছে নারী; ধরেছে তলোয়ার ।  যতই প্ররোচনা আর নিয়ম নীতিতে বেধে রাখ তারে ।  পারবে না ভাঙতে, হে সমাজ - নারীর ক্ষমতারে ।  নারীর গর্ভে জন্ম - হে পুরুষ,  মাতৃদুগ্ধ পানে তুমি লালিত ।  কিসের ক্ষমতা তোমার ? শ্রদ্ধা আর সম্মানে নতজানু যে পুরুষ,  নারীর যোগ্য সেই তো উচ্চশির সুমহান মানুষ। Generated by Embed Youtube Video online