Skip to main content

কল্পনা শীল_____এর কয়েকটি কবিতা।

 
কবিতা পরিচিতি 

শিরোনাম-সাতটি সুর

কলমে-কল্পনা শীল


কী সুর বাজে আমার প্রাণে

দেয় বলে সে সাতটি সুর

ভিন্ন সময় বাজায় সে 

ভিন্ন রাগের ভিন্ন  সুর।


রাগ রাগীণী আছে সবই 

লুকোনো এই প্রাণের মাঝে

শিশুবেলা,কিশোরবেলা

যৌবন আর শেষের সাঁঝে।


কাঁদলে শিশু মা গেয়ে যায়

ঘুমপাড়ানী ঘুমের গান 

শান্ত হয়ে মায়ের কোলে

ঘুমায় শিশু শুনলে গান। 


আবার শিশু হেলেদুলে

খেলছে যখন আঙিনায়

বাৎসল্য রসের  ধারা

মায়ের কণ্ঠে শোনা যায়।


মেঘ ডাকলে গুরু গুরু

ময়ুর নাচে যখন

গেয়ে ওঠে কণ্ঠ মধুর 

মেঘমল্লার  তখন।


বৃষ্টি ধারা ডেকে আনে

মেঘমল্লার রাগ

এমনি সকল ক্ষণে বাজে

ভিন্ন সুরের রাগ।


ডাকলে কোকিল প্রাণে 

বাজে বসন্ত বাহার 

ঝরাপাতা বাজায় প্রাণে

কান্হরা দরবার। 


ভক্তি প্রেমে বিভোর  হয়ে

মালকোষ আর বেহাগ গায়

পিলু, বৃন্দাবনী সারং

হৃদয়খানি মেলে দেয়।


আশাবরি গায় যে হৃদয়

ব্যাকুল হলে মন

সাতসুরেতে ভরা হৃদয়

সাতটি সুরের রঙ।

<><><><><><><>

১/কাল বৈশাখী 

২/ বসন্তের বেলা।


Comments

Popular posts from this blog

এক জোড়া চোখ _____জয়া গোস্বামী

  এক জোড়া চোখ _____জয়া গোস্বামী  কথাতো অনেক কিছুই ছিল বলো? সেই প্রথম দেখার দিন থেকেই তোমার সাথে। ভুলিনি কিছুই মনে রাখার আজও চেষ্টা করি। তোমার কথার অঙ্কের কাছে আমি'তো  আজীবন হেরে গিয়েছি,,,, নতুন করে কেন আবার শুরু করবো এইতো আছি একাকিত্বের রাজ্যে আমি একাই সম্রাজ্ঞী,,,, কথা ছিল ছায়া হবে সারাজীবন পাশাপাশি থাকবে,একইসাথে পথ চলবে হঠাৎই অন্ধকার দেখে হাত ছাড়লে কেন? আজ ঠকে  গিয়ে মানুষ চিনতে শিখলাম মিষ্টি কথায় ভুলেছি অনেক, বুঝিনি করিনি নিজের খেয়াল,কি বলেছিল সেদিন তোমার ঐ এক জোড়া চোখ ? কোন দিন নাকি আমাকে হারাবার নয়,  অধিকার চেয়ে নিয়েছিলে ভালোবাসার, তোমার দিকে তাকিয়ে দুর্বল হয়েছি প্রতিনিয়ত,,,,,, গোপনে দু'জনের মধ্যবর্তী কথা আজ তার কোন সাক্ষী নেই ,নেই কোন পাকাপোক্ত দলিল,, কে'নিলো দুর্বলতার সুযোগ? আমি না তুমি?  সুযোগ বুঝে ঠিক ফিরিয়ে নিলে চোখ, তাকালে না ফিরে আর একটিবার। আমি আজও তোমার পথ চেয়ে ক্লান্ত ,আজ চোখ চাইছে একটু বিশ্রাম,,,,,,,,,, মনে আছে শেষ তোমার সাথে বসন্ত বাহার সবই.... এসেছিলে বসেছিলে কাছাকাছি চোখে চোখ রেখে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলে। তোমায় আমি ভালোবাসিনি কোন দিনও? মন

মাংসাশী পুরুষ। _____অরন্য হাসান দেলোয়ার।

মাংসাশী পুরুষ। _____অরন্য হাসান দেলোয়ার।  বুকের গহীনে জমা কথাগুলো আজ সাঁজিয়ে রেখেছিলাম নাস্তার টেবিলে তুমি অবহেলায় তা ছুঁড়ে ফেলেছিলে ডাস্টবিনে।  আমার ভালোলাগা বিষয়গুলো নীল খামে করে  তোমার অফিসে পাঠিয়েছিলাম, যদি কাজের ফাঁকে একবার দেখে নিতে সেই খাম সেই টেবিলেই পড়েছিলো অনেকগুলো দিন ধরেও দেখা হয়নি ভুলে... আমার তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নগুলো রাতের বিছানায় রেখেছিলাম তোমাকে দেখাবো বলে সেই রাতে তুমি বাড়ি ফেরোনি... পরে জেনেছিলাম তোমার সুন্দরী সেক্রেটারির  নির্জন বাসায় তারই বাহুডোরে ছিলে তুমি। আমার যন্ত্রণা গুলো নিয়ে আজ আমি ফিরে যাচ্ছি কোথায় ফিরবো?নারীর তো কোন ঘর নেই বাড়ি নেই আমি চলে যাচ্ছি অজানা কোন এক ঠিকানায় যেখানে কেউ আমাকে ঠকাবে না আমার কথাগুলো ছুঁড়ে ফেলবে না  আমার স্বপ্নগুলো চুরমার করবে না আমি আর কোন পুরুষেই আসক্ত হবো না। আমি নারী এক পুরুষেই যখন কিছু হয়নি তখন হাজার পুরুষেও হবে না... কারন,সব পুরুষই নতুন মাংসের স্বাদ পেলে  পুরোনো বাসি মাংস ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ©Aranna Hasan Delwar. Generated by Embed Youtube Video online

আমি নারী , _____ববি ফারজানা

  আমি নারী ,  _____ববি ফারজানা  যেখানে শুনিবে হুহু কোন বুনো কেতকির ডাক । কান পেতে বুঝে নিও; তা ব্যথাতুরা কোন রমনীর দীর্ঘশ্বাস। গ্রীষ্মের প্রভাতে ঘাসফুলে যদি পড়ে শিশিরের ছিটা । অনুভবে ছুয়ে দেখ, কোন গৃহ নন্দিনির গোপন অশ্রু ফোটা । যদি দেখ শরতের জোছনায় কাল মেঘে ঢেকে গেছে চাঁদ।  জেনে নিও, সে তো শতো  সুরবালার গোপন কষ্টের হহাকার । হঠাৎই যদি পৃথিবীর বুকে নেমে আসে কাল বৈশাখী ঝড়  বুঝে নিও , জেগেছে নারী; ধরেছে তলোয়ার ।  যতই প্ররোচনা আর নিয়ম নীতিতে বেধে রাখ তারে ।  পারবে না ভাঙতে, হে সমাজ - নারীর ক্ষমতারে ।  নারীর গর্ভে জন্ম - হে পুরুষ,  মাতৃদুগ্ধ পানে তুমি লালিত ।  কিসের ক্ষমতা তোমার ? শ্রদ্ধা আর সম্মানে নতজানু যে পুরুষ,  নারীর যোগ্য সেই তো উচ্চশির সুমহান মানুষ। Generated by Embed Youtube Video online